বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদিয়া হাউজিংয়ের পিদিম থিয়েটারে ১৩ বছরের যে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, প্রাথমিক তদন্তে সেই ঘটনার সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল মমিন বলেছেন, ‘ভিকটিমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মামলা নিয়েছি। আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। মামলার তদন্তের কাজ চলছে। প্রাথমিক তদন্তে ভিকটমের কথার সঙ্গে ঘটনার সত্যতা মিলেছে।’
আদাবর থানা পুলিশের এই এসআই আরও বলেন, ‘ভিকটিম যেহেতু ছোট শিশু। খুবই সর্তকতার সঙ্গে আমরা মামলাটির তদন্ত করছি। যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবো।’
অন্যদিকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়মিত ভিকটিম পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন উল্লেখ করে ভিকটিমের বড় ভাই জানান, মামলা আমরা চালিয়ে যাব। কিন্তু গণমাধ্যম থেকে খবর আসছে আমাদের ওপর সমঝোতার চাপ আছে। সেটা ঠিক নয়। আমরা পারিবারিকভাবে গণমাধ্যমে কথা বলবো কিনা সে সিদ্ধান্ত নিতে আলাপ করছি। বিষয়টি এতোটা ছড়িয়ে যাবে আমরা বুঝিনি।
ভিকটিমের বড় বোন পরশমনি জানান, শিশুটি শারীরিকভাবে এখন কিছুটা সুস্থ।
এর আগে, গত ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় পিদিম থিয়েটারের ভিতরেই ১৩ বছর বসয়ী এক শিশু থিয়েটার কর্মীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে থিয়েটার প্রধানসহ দুই জনকে গ্রেফতার করে আদাবর থানা পুলিশ। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- পিদিম থিয়েটারের প্রধান ফজলুল হক ও নির্দেশক আক্তার হোসেন।
আদাবর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদি হাউজিং সোসাইটিতে অবস্থিত পিদিম থিয়েটারে যায় ওই থিয়েটারকর্মী। এসময় কৌশলে একটি রুমে নিয়ে ওই থিয়েটারকর্মীকে ধর্ষণ করে ফজলুল হক। পরে আক্তার হোসেনও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ওই দিন রাতেই থিয়েটারকর্মীর বোন বাদী হয়ে আদাবর থাকায় একটি মামলা (নং ২৪/২০২০) দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই পুলিশ থিয়েটার প্রধান ফজলুল হক ও নির্দেশক আক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করে।
এসএস